ডে ট্রেডিং কি বা ডে ট্রেডিংয়ের দুনিয়া নতুনদের জন্য যেমন উত্তেজনাপূর্ণ, তেমনি চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে। আমার এক বন্ধুর গল্প দিয়েই শুরু করি।
রাকিব, শুরুতে ডে ট্রেডিংয়ের ব্যাপারে খুবই অনভিজ্ঞ ছিলো। কিন্তু শেয়ার বাজারের প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রবল।
প্রথমদিকে, সে বাজারের ওঠানামা দেখে ঘাবড়ে যেতো এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিত।
তবে, সময়ের সাথে সাথে সে বুঝতে পারে যে, সঠিক কৌশল এবং ধৈর্যই তাকে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারবে।
ডে ট্রেডিং কি এবং কেন এটি জনপ্রিয়?
ডে ট্রেডিং হলো- এমন একটি ট্রেডিং কৌশল যেখানে শেয়ার, স্টক বা অন্যান্য আর্থিক সম্পদ দিনে একাধিকবার কেনা-বেচা করা হয় ।
আবার দিনের শেষে সব পজিশন বন্ধ করা হয়। এটি অনেকের জন্য উত্তেজনাপূর্ণ কারণ এতে প্রতিদিনই নতুন সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ থাকে।
দিনের মধ্যে দ্রুত মুনাফা অর্জনের এই প্রচেষ্টা অনেককে আকর্ষণ করে।
তবে, এটা জেনে রাখা ভালো যে ডে ট্রেডিংয়ের সাথে ঝুঁকিও থাকে।
ডে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও টুলস
ডে ট্রেডিংয়ে সফল হতে হলে কিছু বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যেমন আমার বন্ধু রাকিব যেভাবে তার অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছে। আপনাকেও একই ভাবে বাজার বিশ্লেষণ,
টেকনিক্যাল ইনডিকেটর, এবং অর্থনৈতিক রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে হবে। রাকিব প্রথমে RSI এবং মুভিং এভারেজের মত টেকনিক্যাল টুল ব্যবহার করত।
যা তাকে প্রাইস মুভমেন্টের প্রবণতা চিহ্নিত করতে সহায়তা করত। রাকিব আমাকে বলেছে “মার্কেটের প্রতিটি ওঠানামা বোঝা আসলে নিজের অনুভূতি আর সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখার মতো।”
স্ক্যাল্পিং হল সহজ ট্রেডিং কৌশল – দ্রুত মুনাফার গাইড
Martin S. Schwartz: ডে ট্রেডিংয়ের এক আইকন
Martin S. Schwartz এর উদাহরণ হলো এই ডে ট্রেডিংয়ের চূড়ান্ত প্রতীক। তার সাহস ও দক্ষতা তাকে প্রচুর সম্পদ এনে দিয়েছে এবং পিট বুল নামে পরিচিতি পেয়েছে।
১৯৮৪ সালে তিনি ইউএস ইনভেস্টিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে জাতীয়ভাবে পরিচিত হন। তার ডে ট্রেডিংয়ের কৌশল সেসময়ে প্রায় অপরাজেয় ছিল।
Marty কখনও তার পজিশন দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখতেন না। তিনি ট্রেড এন্ট্রি নিতেন টেকনিক্যাল ইনডিকেটরের ভিত্তিতে এবং অর্থনৈতিক রিপোর্ট এবং
অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ডেটা ব্যবহার করতেন। তবে, তার বিশ্বাস ছিল যে অর্থনৈতিক রিলিজের সংখ্যা নয়, বরং মার্কেটে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।
Marty Schwartz সবসময় ট্রেডারদের বলতেন তাদের ব্যক্তিগত ধারণা ভুলে যেতে এবং মার্কেটের সংকেত শুনতে। কারণ ট্রেডের আসল উদ্দেশ্য ধারণার সত্যতা নয় বরং লাভবান হওয়া। তার প্রিয় টেকনিক্যাল টুল ছিল ১০-পিরিয়োডের এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ (ইএমএ), যা তাকে শর্ট-টার্ম ট্রেডে বুলিশ ও বিয়ারিশ পরিস্থিতি চিহ্নিত করতে সাহায্য করত।
উইকিপিডিয়া তথ্য মতে-ডে ট্রেডিং
ডে ট্রেডিংয়ে চ্যালেঞ্জ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ
ডে ট্রেডিংয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার একবার মনে আছে, রাকিব একটি বড় ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিলেন
এবং সেই সময় তিনি খুব হতাশ ছিলেন। কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। বরং তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন।
সে আমাকে বলেছিলেন, “সবচেয়ে বড় ভুল হলো ক্ষতির ভয়ে পিছিয়ে যাওয়া। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ঠাণ্ডা মাথায় ভাবা দরকার।”
কিভাবে শুরু করবেন?
যদি ডে ট্রেডিংয়ের দুনিয়ায় আপনি নতুন হন, তবে প্রথমেই ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন। রাকিবের মতো আপনিও ট্রেডের জন্য কিছু কৌশল শিখুন এবং
বিভিন্ন টুল নিয়ে পরীক্ষা করুন। দিনে একবার বা দুইবার ট্রেড করুন, বাজারের মেজাজ বোঝার চেষ্টা করুন, এবং ভুলগুলো থেকে শিখুন।
ডে ট্রেডিং এমন একটি জগৎ যেখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং বাজারের প্রতিটি মুভমেন্টকে গভীরভাবে বোঝা আবশ্যক। বাস্তব জীবনে,
অনেক নতুন ট্রেডার এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, প্রথমদিকে সমস্যায় পড়ে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দক্ষতা বাড়ে এবং সফলতার পথ তৈরি হয়।
আপনার যাত্রা শুরু করুন—সঠিক কৌশল, মনোযোগ, এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ আপনার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ডে ট্রেডিং শেখার জন্য আরও তথ্য এবং
গাইডলাইন পেতে আমাদের ব্লগের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ুন এবং আপনাকে সফল হতে সাহায্য করতে আমাদের পরামর্শগুলো কাজে লাগান!
“আপনার যাত্রা শুরু হোক—ডে ট্রেডিংয়ের জগতে সফল হওয়ার জন্য আমাদের অন্যান্য পোস্ট পড়ুন এবং আপনার কৌশল তৈরি করতে সহায়তা নিন।
আজই আপনার ট্রেডিং দক্ষতা বাড়াতে ফরেক্স একাউন্ট তৈরি করুন ও নিয়মিত চর্চা করুন!”
1. Exness Broker
2. Ic market
3.Quotex
Best day trading article thanks